Uncategorized

সরিষার তেলের উপকারিতা জেনে রাখা ভালো

ওজন কমাতে  আমরা খাবারের দিকে গুরুত্ব দিলেও কোন তেল দিয়ে রান্না করা হচ্ছে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায় অনেক সময়। আমরা যে তেলে রান্না করি তাতে স্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড, দু ধরনের ফ্যাট থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য খারাপ হলেও, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট কিন্তু শরীরের উপকার করে। সরিষার তেলের উপকারিতা জেনে সেই হিসেবে শরীরের ভালোর জন্য সরিষা তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরিষার তেলের বদলে রিফাইন্ড ভেজেটেবল অয়েল ব্যবহার করেন অনেকই। কিন্তু বাঙালির রান্নাঘরে সরিষা তেলের ঝাঁঝই মানানসই। শুধু তাই না পুষ্টিবিদরাও সরিষার তেলের গুণের কথা বলছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘানি থেকে আনা সরিষার তেল স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্যে খুবই ভালো।

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হল করোনারি হার্ট ডিজিজ । আর রান্নার তেলের কারণে এই হার্টের রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত যা কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

যেভাবে সরিষার তেল ওজন কমায়?

সরিষার তেলের রান্না হার্ট, হাড়, হজম এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।এতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই তেল ডিপ ফ্রাই, খাবার গরম এবং খাবারে অনন্য স্বাদ আনতে কার্যকর। যারা পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা উচিত। এই তেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর দ্রুত খাবার হজম হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ফ্যাটের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে সরিষার তেল

সরিষার তেলের কড়া ঝাঁঝের জন্য আজকাল অনেকে ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু এতে আছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড কেবল খাবারের স্বাদই উন্নত করে না, রক্তে চর্বির মাত্রাও হ্রাস করে।

সরিষার তেলের উপকারিতা

✅  সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার তথা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

✅  সরিষার তেলে উপস্থিত গ্লুকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি প্রতিরোধে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅  এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

✅  সরিষার তেলের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ব্যকটেরিয়া ও ছত্রাকের ক্ষতিকারক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

✅  সরিষার তেলে থাকা ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটিঅ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

✅  সরিষার তেলে রয়েছে কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই খনিজগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅  সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ (হাড়ের রোগ) কমানোর পাশাপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅  সরিষার তেল পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

✅  সরিষার তেলের ঝাঁঝালো উপাদান শ্লেষ্মা এবং অবরুদ্ধ সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

✅  রান্নায় সরিষার তেল সয়াবিন তেলের থেকে কম পরিমাণে লাগে।এতে শরীরে ক্যালরি বাড়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

✅   এ তেলের রয়েছে উচ্চমাত্রার স্মোক পয়েন্ট, যা বেশি তাপমাত্রার রান্নার জন্য উপযোগী।

‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরিষার তেল খান। দেশের উৎপাদিত তেল ব্যবহার করে আমদানি নির্ভরতা কমান।’

তথ্যসূত্রঃ
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ঢাকা টাইম্‌স
প্রথম আলো 
কালের কণ্ঠ

One thought on “সরিষার তেলের উপকারিতা জেনে রাখা ভালো

  1. Aydan Tanner says:

    Nice post. I learn something totally new and challenging on websites

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *